ডাকসু ভিপি পদে মাত্র ৬৮ ভোট পেলেন ইমি, যিনি চেয়েছিলেন হাসিনাকে আজীবন সদস্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি মাত্র ৬৮ ভোট পেয়েছেন। বুধবার সকালে সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন।

ভিপি-জিএস, এজিএসসহ মোট ২৮টি পদে এর মধ্যে ২৩টিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। ভিপি পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থী আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

একইভাবে জিএস পদে ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন শিবির সমর্থিত এসএম ফরহাদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের তানভীর বারী হামীম পান ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। অন্যদিকে প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পান ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।

শিবির সমর্থিত প্যানেলের বাইরে পাঁচটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে আছেন সমাজসেবা সম্পাদক যুবাইর বিন নেছারী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সানজিদা আহমেদ তন্বী, আর সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন হেমা চাকমা ও উম্মু উসউয়াতুন রাফিয়া।

উল্লেখ্য, ইমি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি ছিলেন। সে সময় তিনি এক টকশোতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব দেন। ভিপি নুরুল হক নুর প্রস্তাবটির বিরোধিতা করলেও পরে ২০১৯ সালের ৩০ মে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়। তবে নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন সেই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেন।