Wednesday, September 10, 2025
spot_imgspot_img
Homeআন্তর্জাতিকনেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি


জেন-জিদের আন্দোলনের পর কেপি শর্মা অলির সরকারের পতনের পর নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে আসতে পারেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। বিক্ষোভকারীদের পছন্দের প্রার্থী কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি দুর্নীতির মামলায় এক মন্ত্রীর কারাদণ্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ রায়ের জন্য দেশজুড়ে পরিচিত।

প্রবীণ আইন বিশেষজ্ঞ কার্কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য জনপ্রিয়। দেশটিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বিরোধী আন্দোলনের ফলে দু’দিনের তীব্র বিক্ষোভের পরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন।

জেন-জিরা বিক্ষোভকারীরা বুধবার নতুন সরকারের সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। চার ঘণ্টার আলোচনায় ৫ হাজারের বেশি সদস্য অংশ নেন এবং অধিকাংশই কার্কির পক্ষে সমর্থন জানান। জেন-জি নেত্রী রক্ষা বাম জানান, ‘‘আমরা সুশীলা কার্কিকে নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেছি। সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।’’

সুশীলা কার্কি ২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য তিনি প্রশংসিত। বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায় দেন এবং নারীদের সন্তানের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত প্রগতিশীল রায় প্রদান করেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৭৫ সালে বিএইচইউ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক হন। ২০১৭ সালে সরকারের বিরাগভাজন হয়ে অভিশংসনের মুখোমুখি হন, তবে তার পেশাগত সততা ও অপ্রত্যাহারযোগ্য সিদ্ধান্তে তিনি প্রমাণ করেন যে তিনি নেপালের বিচারব্যবস্থায় এক প্রতীকী নারী নেতা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments