নেপালে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের পতনের পর কয়েকদিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আটকে পড়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। তবে সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সচল হওয়ায় জামাল ভূঁইয়াদের বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আজ সকালে খেলোয়াড়রা কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরে পৌঁছান। বেলা সাড়ে ১১টার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ ফ্লাইটে শুধু ফুটবলাররাই নন, বাংলাদেশ–নেপাল ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এ এস এম সাদেক জানান, নেপালের বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই শান্ত। আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা আজ দুপুরে বড় একটি ফ্লাইট দিয়েছে। আশা করছি ওই ফ্লাইটে ফুটবলারদের পাঠানো যাবে।”
এর আগে বিশেষ বিমানের জন্য নেপাল সেনাবাহিনীর কাছে দূতাবাস চিঠি দিয়েছিল। তবে অনুমতির অপেক্ষায় থাকলেও বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটেও ফেরার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে ঢাকায় ফেরার অনিশ্চয়তা থাকলেও খেলোয়াড়রা হোটেলেই জিম সেশনে অংশ নিয়ে ফিটনেস ধরে রেখেছেন। বাফুফের দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় মিডফিল্ডার সোহেল রানা জানান, “আগের চেয়ে পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় ঝামেলা নেই। আমরা পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। সবাই চেষ্টা করছেন দ্রুত আমাদের দেশে ফিরিয়ে আনার।”