চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা ভেবে দেখার বিষয় উল্লেখ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকানা প্রশাসনের অধীনে কতটুকু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে তা আমরা যথেষ্ট সন্দিহান। এই পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে যাব কিনা তা এখন ভেবে দেখার বিষয়।”
ঢাকা পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংস্কার করতে হবে। দলকানা রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিবকে পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমি বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলছি না, একদম নিরপেক্ষ ব্যক্তিরাই দায়িত্বে থাকা উচিত।”
চাকসুর নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়ন জমা নেওয়া শুরু হবে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের ‘দলান্ধতা’র অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনও করেছে সংগঠনটি।