ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা অনুপস্থিতি এবং ভোট দেওয়ার পর আঙুলে কালির চিহ্ন না থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনে শহীদ তাজউদ্দীন হলে প্রায় ২৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে ছবি সংযুক্ত ভোটার তালিকা আপডেট করার পর ভোটগ্রহণ পুনরায় শুরু হয়। তবে ইতিমধ্যেই কাস্ট হওয়া ১৫৩টি ভোট যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটে।
প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর রুবেল বলেন, ভোটারদের ইনডেক্স কার্ডে ছবি থাকা সত্ত্বেও তা পরিবর্তন করা সম্ভব। ফলে একজনের ভোট অন্য কেউ দিতে পারার সুযোগ থাকে। এ হলে প্রাথমিকভাবে ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, সকাল থেকে ১৫৩ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন, কিন্তু তাদের আঙুলে কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়নি। এতে জাল ভোট চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সদস্য সালেহ আহম্মদ জানান, “এই ১৫৩ ভোটারের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। তাদের আঙুলে মার্কারের কালি দেওয়া হয়নি এবং ভোটার তালিকায় ছবি ছিল না। আমরা তাদের আলাদা রেখেছি এবং পরে যাচাই করব।”
অন্যদিকে, রিটার্নিং অফিসার ড. আলমগীর কবির বলেন, “আঙুলে কালি ও ভোটার তালিকায় ছবি থাকা ঐচ্ছিক ছিল। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে ১৫৩ ভোটারের অভিযোগ যাচাই করা হবে।”
তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভোটার ও কেন্দ্রীয় সংসদে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক প্রার্থী সুকান্ত বর্মন বলেন, “ভোটারদের আঙুলে মার্কারের কালোর দাগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া ছবিযুক্ত ভোটার তালিকাও উপস্থিত ছিল না। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কে ভোটার এবং কে ভোট দিয়েছে। এর ফলে একজনের ভোট অন্য কেউ দিতে পারত।”