জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ কার্যকর করার জন্য চারটি প্রক্রিয়া সুপারিশ করেছে—গণভোট, অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে এই সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে বিভিন্ন দলের মতামতের ভিত্তিতে কমিশন জুলাই সনদের সংবিধানগত বিষয়গুলো কার্যকর করার উপায়গুলো পর্যবেক্ষণ করে।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলগুলো বিভিন্ন বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—পূর্ণাঙ্গ সনদ বা এর কোনো অংশ নিয়ে গণভোট আয়োজন, রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন ও প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ, ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন, অথবা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেল পাঁচটি বিকল্প বিবেচনা করে—অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত। এরপর আরও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোকে চারটি প্রধান পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়—অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।