অনেক দিন ধরেই কানাডা ভ্রমণের ইচ্ছা ছিল অভিনেত্রী হিমির। অবশেষে ব্যক্তিগত সফরে সম্প্রতি তিনি দেশটিতে ঘুরে এসেছেন। কানাডার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশাল জলপ্রপাত আর আধুনিক নগরজীবন তাঁকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছে।
ভ্রমণ শুরু হয় কুইবেক সিটির বিখ্যাত মন্টমরেন্সি ফলস দিয়ে। জলপ্রপাতের প্রচণ্ড গর্জন আর চারপাশের সবুজে ঘেরা প্রকৃতি তাঁকে অভিভূত করে। এরপর তিনি ঘুরে দেখেন রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন, যেখানে নানান প্রজাতির ফুল, গাছ আর বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য তাঁকে এক অন্যরকম প্রশান্তি দেয়। কানাডায় অবস্থানকালে তিনি চায়না পার্ক-ও ঘুরেছেন, যেখানে ভিন্ন সংস্কৃতির ছোঁয়া পেয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা ছিল নায়াগ্রা ফলস দর্শন।
নায়াগ্রার সামনে দাঁড়িয়ে হিমির মনে হয়েছিল, প্রকৃতি যেন তার শক্তি ও সৌন্দর্যের সর্বোচ্চ রূপ একসঙ্গে সাজিয়েছে। জলপ্রপাতের কাছে গিয়ে পানির গর্জন, কুয়াশার মতো ছিটা আর ঠান্ডা বাতাস তাঁকে রোমাঞ্চিত করেছে। তাঁর মতে, জীবনে অন্তত একবার নায়াগ্রা না দেখলে প্রকৃতির মহিমা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
তবে পুরো সফরের সবচেয়ে সাহসী ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল বাঞ্জি জাম্প। ২১০ ফুট ওপরে দাঁড়িয়ে ঝাঁপ দেওয়ার সময় ভয়ের কারণে বারবার মনে হচ্ছিল পারবেন না। শেষ মুহূর্তে সাহস জোগাড় করে লাফ দেন তিনি। ঝাঁপ দেওয়ার সময় ভয়াবহ চিৎকার করলেও নিরাপদে নেমে আসতে পেরেছেন। হিমি বলেন, “ভয়কে জয় করার পর যে অনুভূতি আসে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”
সাহসী এই অভিজ্ঞতার ভিডিও তিনি ফেসবুকে পোস্ট করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাখো মানুষ তা দেখে ফেলেন। অনেকে তাঁর সাহসের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ নিজেদের ভয় জয় করার গল্প শেয়ার করেছেন।
ভ্রমণের আনন্দে শপিংও বাদ দেননি হিমি। নিজের জন্য এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করেছেন তিনি। পুরো কানাডা সফর তাঁর কাছে হয়ে থাকবে জীবনের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
হিমির ভাষায়, “দেশের বাইরের সৌন্দর্য যেমন মুগ্ধ করে, তেমনি দেশের মধ্যেও অসংখ্য সুন্দর স্থান আছে, যেখানে বারবার ঘুরতে যেতে মন চায়।”