নিরলস কাজের মাধ্যমে নিজের সৃষ্টিশীলতাকে ধারাবাহিকভাবে সামনে নিয়ে আসছেন হাবিব ওয়াহিদ। সংগীত পরিচালক ও শিল্পী হিসেবে তিনি প্রতিনিয়ত নতুন গান, সুর ও সংগীতের মাধ্যমে শ্রোতাদের উপহার দিচ্ছেন। হিট বা ফ্লপ, সাফল্য বা ব্যর্থতা—কোনো কিছুই তার সৃষ্টিশীলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। বরং নিজের সৃষ্টিকে সম্পূর্ণতা দিতে, বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালোবাসাই তার মূল প্রেরণা।
সম্প্রতি হাবিব ও আতিয়া আনিসার গাওয়া দ্বৈত গান ‘তোর আদরে’ প্রকাশ পেয়েছে। এই গানটি শ্রোতাদের মধ্যে নতুন এক মূর্ছনার ছোঁয়া নিয়ে এসেছে। এর ঠিক এক মাস আগে প্রকাশিত হয় তার একক গান ‘জানি না’ এবং ‘দিলানা’, যা ভিন্নধর্মী শৈলী ও নতুন সুরের সমন্বয়ে শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে গেছে। তার আগের প্রকাশিত গানগুলো—‘পাগল হাওয়া’, ‘ঘোর কেটে যায়’, ‘তোমার মন জানে’, ‘কখনও ভাবিনি’, ‘কোন খেয়ালে’, ‘তোকে খুঁজি’, ‘মন বোঝেনা’—সবই ধারাবাহিকভাবে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছে। এই ধারাবাহিকতা এবং সৃষ্টির নিত্য নতুন ছন্দের জন্য হাবিবকে আধুনিক বাংলার সংগীত জগতের এক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী হিসেবে দেখা হয়।
শুধু গান রচনা নয়, প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবেও হাবিব অনন্য। বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল, টিভি চ্যানেলের থিম সং থেকে শুরু করে অন্যান্য শিল্পীদের জন্য তৈরি প্রতিটি গানেই তিনি নিজের স্বতন্ত্রতার ছাপ রেখেছেন। তার সৃষ্টিতে নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটে, যা অনেকেই তাকে ‘একুশে শতকের শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’ হিসেবে উল্লেখ করার অন্যতম কারণ।
হাবিব ওয়াহিদ কখনো জনপ্রিয়তার স্রোতে ভেসে যান না। বরং তার সৃষ্টির লক্ষ্য হলো শ্রোতাদের অনুভূতির ভিন্ন এক জগতে গান ভাসানো। তিনি বলেন, “ভালোবাসায় পৃথিবী জয় করা যায়, তাই আমাকে দিয়ে যা কিছু হয়েছে, তার মূল শক্তি শ্রোতার ভালোবাসা। আমি সবসময় নিরলস কাজে ডুবে থাকা এবং মনের অতল থেকে সুর তুলে আনার চেষ্টা করেছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গান তৈরি করার পর আগে থেকে অনুমান করা কঠিন যে, তা শ্রোতাদের কতটা ছুঁবে। তাই যতক্ষণ নিজের ভালো না লাগে, ততক্ষণ পর্যন্ত সুর-সংগীতের কাটাছেঁড়া চালিয়ে যাই। কোনো সীমা বা পরিসীমা বেঁধে রাখি না। যখন মনে হয়, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে এবং সম্পূর্ণ হয়েছে, তখনই বিশ্বাস হয় গানটি অনেকের ভালো লাগবে। এভাবেই আমি প্রতিটি গানের সৃষ্টি প্রকাশে নিয়োজিত থাকি।”
হাবিবের সঙ্গীত যাত্রা শুধু ধারাবাহিকতা নয়, বরং সময়ের সঙ্গে সংগীতের পরিবর্তন, শ্রোতার সঙ্গে সংযোগ ও নতুনত্বের প্রতিফলনও বহন করে। একক ও দ্বৈত গান থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন, থিম সং এবং অন্যান্য শিল্পীদের সৃষ্টিতে তার অবদান তাকে বিশেষ স্থান দিয়েছে। তিনি নিজেকে কখনো জনপ্রিয়তার স্রোতে ভাসান না, বরং শ্রোতাদের অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গান তৈরি করেন, যা বাংলা সংগীতের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
শ্রোতাদের ভালোবাসাই হাবিবের প্রতিটি সৃষ্টির মূল শক্তি। তার এই অনলস পরিশ্রম, নতুনত্বের প্রতি উৎসর্গ এবং সৃষ্টির প্রতি নিবেদন বাংলা সংগীতকে সমৃদ্ধ করতে অব্যাহতভাবে অবদান রাখছে।