মেটা এবং টিকটক ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ডিজিটাল আইন ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) অনুযায়ী আরোপিত তদারকি ফি–এর হিসাব প্রক্রিয়ায় বড় জয় পেয়েছে। লুক্সেমবার্গভিত্তিক জেনারেল কোর্ট বুধবারের রায়ে জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনকে ফি হিসাব করার পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে।
ডিএসএ অনুযায়ী, বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বার্ষিক তদারকি ফি আরোপ করা হয়, যাতে কমিশনের নিয়ম মেনে চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের খরচ মেটানো যায়। ফি–এর পরিমাণ নির্ভর করে কোম্পানির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা এবং পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের লাভ-ক্ষতির ওপর। মেটা ও টিকটক অভিযোগ করে, ফি গণনার বর্তমান পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ, ফলে তারা অতিরিক্ত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ফি দিয়েছেন।
আদালতও একমত হয় যে, কমিশনকে এ ধরনের পদ্ধতি ডেলিগেটেড অ্যাক্টের মাধ্যমে চালু করতে হতো, সরাসরি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নয়। রায়ের ফলে কমিশনকে আগামী ১২ মাসের মধ্যে নতুন ভিত্তিতে ফি হিসাবের নিয়ম তৈরি করতে হবে। তবে ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের জন্য প্রদত্ত ফি ফেরত দিতে হবে না।
ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা ১২ মাসের মধ্যে নতুন ডেলিগেটেড অ্যাক্ট তৈরি করে ফি হিসাবের নিয়ম আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্নির্ধারণ করব।” রায়ের পর টিকটক জানিয়েছে, তারা নতুন আইন প্রণয়নের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। মেটা জানায়, “বর্তমানে লোকসানে থাকা কোম্পানিগুলো ফি দিতে হবে না। আশা করি এবার পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলো ঠিক হবে।”
মেটা ও টিকটকের পাশাপাশি ইউরোপে অ্যামাজন, অ্যাপল, বুকিং.কম, গুগল, মাইক্রোসফট, এক্স (টুইটার), স্ন্যাপচ্যাট ও পিন্টারেস্টের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিকেও এই ফি দিতে হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে কার্যকর হওয়া ডিএসএ অনুযায়ী, বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবৈধ ও ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়ম ভাঙলে বার্ষিক বৈশ্বিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।