নেপালের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক রচনা করেছেন সুশীলা কার্কি। দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর এবার তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে শপথ নিয়ে তিনি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সুশীলা কেন তরুণদের প্রিয়?
২০১৬ সালে নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান সুশীলা। মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্বে থাকলেও তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন একেবারেই আপসহীন। তার শূন্য-সহনশীল নীতি তৎকালীন সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে। এমনকি তাকে অভিসংশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সাধারণ মানুষ সরকারের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে তার পাশে দাঁড়ায় এবং আন্দোলনে নামেন। জনচাপের মুখে সরকার অভিসংশনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। পরে ২০১৭ সালে তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান তাকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।
নেপালের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে এল ভান্ডারি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, “সুশীলা অভিসংশনের হুমকির মুখেও নিজের নীতি থেকে কখনো পিছু হটেননি। নেপালের অচলাবস্থা কাটাতে তিনি সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি।”
তবে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকায় কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনার জন্য তাকে একটি দক্ষ ও শক্তিশালী দল গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তার সাবেক সহকর্মী দিপেন্দ্র ঝা।