সম্প্রতি কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের বাড়ির আশপাশে কিছু পোস্টার লাগানো হয়, যেখানে তাকে সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি নানা আন্দোলন ও প্রতিবাদে সরব ছিলেন—শাসক দলের নেতাদের দুর্নীতি, শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল, কিংবা আরজিকরের নির্যাতনের মতো বিষয়ে সোচ্চার অবস্থান নিয়েছিলেন। ফলে সমাজের কিছু মহলে তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীলেখা জানান, পোস্টারগুলো অপসারণের অনুরোধ জানালেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ পরিস্থিতিতে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিচারপতি তীর্থাঙ্কর ঘোষ তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেন—শ্রীলেখার বাড়ির সামনে থেকে সব বিতর্কিত পোস্টার সরাতে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে অনলাইনে কোনো ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য বা ট্রোলিংয়ের ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট অভয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। ওই ঘটনার পর তিনি সামাজিক মাধ্যমে ট্রোলিংয়ের শিকার হন। কয়েক দিনের মধ্যেই তার বাড়ির সামনে “শ্রীলেখা মিত্রকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হোক” লেখা পোস্টার ঝোলানো হয়।