জয়পুরহাটে দাম্পত্য বিবাদের জেরে স্বামী জহির উদ্দিন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম-কে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দম্পতির এক ছেলে ঢাকায় রিকশা চালান এবং তার স্ত্রী বিদেশে থাকেন। রোকেয়া বেগম ও জহির উদ্দিন দুই নাতি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করতেন।
দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদের মধ্যে থাকতেন তারা, এবং জহির উদ্দিন প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। শুক্রবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে রোকেয়া বেগম নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে জহির উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় পেছন দিকে কোপ দেন, যার ফলে রোকেয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হত্যার পর জহির উদ্দিন বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং অসুস্থ হয়ে টয়লেটে পড়ে যান। সকালে তাদের ছোট নাতিরা প্রতিবেশীদের জানায় এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। জহির উদ্দিনকে অসুস্থ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বর্তমানে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।