নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি জানিয়েছেন, নির্বাচিত সরকারের কাছে তিনি ছয় মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত শুক্রবার রাতে সুশীলা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার অনুরোধে প্রেসিডেন্ট একই দিন রাতেই জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদ ভেঙে দেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সুশীলা কার্কি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব নিতে চাইনি, তবে আন্দোলনের তাগিদে আমি বাধ্য হয়ে এ পদ গ্রহণ করেছি।”
নেপালে সম্প্রতি দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে ৭০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে কেপি শর্মা অলির সরকার পতিত হয়। এরপর জনগণের অনুরোধে সুশীলা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
তিনি বলেন, “জেন-জি প্রজন্মের মতো চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। তারা যা চায়, তা হলো দুর্নীতির অবসান, ভালো শাসন ও অর্থনৈতিক সমতা।”
আন্দোলনের সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে হলেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। দুই দিনের সহিংসতার পর সরকার পতিত হয়। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন, সাবেক সরকারের এমপি ও মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও আগুন দেওয়া হয়।
সরকারি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে সুশীলা বলেন, “যারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা নেপালি হলেও এরকম কাজ লজ্জাজনক। তাদের কীভাবে সত্যিকারের নেপালি বলা যাবে?”
সুশীলা কার্কি নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন। মাত্র ১১ মাস দায়িত্ব পালনকালে তিনি অভিসংশনের মুখোমুখি হন। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের কারণে সেই প্রচেষ্টা স্থগিত হয় এবং কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন। প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় তার মধ্যে সাধারণ নেপালি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।