নোয়াখালীর হাতিয়ার থেকে ছোট্ট ছালমা আক্তার মাত্র ৭ মাসে কোরআন হাফেজ হয়েছেন। ছালমার বয়স মাত্র ১২ বছর। সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর হাফেজ হতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগে, কিন্তু ছালমার সময় লেগেছে মাত্র ৭ মাস বা ২১০ দিন।
ছালমা আক্তার হলেন ছারোয়ার হোসেন ও আমেনা বেগমের কন্যা। তিনি হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতে একজন দ্বীনদার আলেম ও মুহাদ্দিস হওয়ার ইচ্ছা তার। এই সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা, শিক্ষক এবং সহপাঠীরা। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, মহান আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানীতেই ছালমা এত অল্প সময়ে হিফজ শেষ করতে পেরেছে। এটি শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, পুরো এলাকার জন্য গর্বের বিষয়। তারা আশা করছেন, ছালমার এই কৃতিত্ব আরও অনেক মেয়েকে ইসলামী শিক্ষায় উৎসাহিত করবে।
ছালমার বাবা ছারোয়ার হোসেন বলেন, “মেয়েটার ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন। এজন্য আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মেয়েটাকে ভালো কিছু দিতে পারিনি, কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। দোয়া করি, সে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
নিজের সাফল্য নিয়ে ছালমা আক্তার বলেন, “শিক্ষক এবং মা–বাবা আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমি কিছুই করতে পারতাম না। আমি চাই আমার এই অর্জন অন্য মেয়েদেরও হাফেজ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করুক। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”
মাদরাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩০ জন ছাত্রী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করি। এর মধ্যে ছালমা মাত্র সাত মাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে। এটি নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমত। আমরা দোয়া করি, সে বড় আলেম হয়ে দ্বীনের খেদমত করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ছালমা প্রমাণ করেছে—দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম থাকলে অসম্ভব কিছু নেই। তার অর্জন শুধু হাতিয়ার নয়, সমগ্র নোয়াখালীর মানুষের জন্য গর্ব এবং অনুপ্রেরণা। এখানে শিক্ষার্থীদের দক্ষভাবে গড়ে তোলার জন্য হিফজের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি ও আরবি শিক্ষারও ব্যবস্থা রয়েছে।”