জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনই হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, সনদ বাস্তবায়নের দুটি সম্ভাব্য উপায় রয়েছে—একটি হলো প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার, যার অতীত নজির রয়েছে, আরেকটি হলো গণভোট, যা দেশের ইতিহাসেও ঘটেছে। দলগুলো একমত না হলে গণভোটের মাধ্যমে জনগণই চূড়ান্ত রায় দেবে।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে আযাদ এ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, সরকারের প্রথম অঙ্গীকার ছিল রাষ্ট্রব্যবস্থার ত্রুটি ও বিগতকালীন ভুল দূর করে দেশকে নতুন পথে পরিচালিত করা। এছাড়া গণহত্যার বিচারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও সরকারের অঙ্গীকার ছিল।
জামায়াতের এই নেতা উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য।
তবে তিনি কিছু উদ্বেগও প্রকাশ করেন। আযাদ বলেন, “কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের দুটি নির্বাচনের পরিবেশ ও ফলাফল আমাদের কিছুটা উদ্বিগ্ন করেছে। নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন ঘটনাগুলোকে নেতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখি। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে।”
তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান এবং সহসভাপতি আলী রীয়াজের মাধ্যমে সনদ প্রক্রিয়ার সুন্দর সমাপ্তি কামনা করেন।