Sunday, September 14, 2025
spot_imgspot_img
Homeদেশের খবর“নিরস্ত্র ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি করিনি, কারণ একটি গুলিই এক জীবন” –...

“নিরস্ত্র ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি করিনি, কারণ একটি গুলিই এক জীবন” – ট্রাইব্যুনালে এপিবিএন সদস্যের সাক্ষ্য


রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য অজয় কুমার। তিনি বলেছেন, “ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ সত্ত্বেও আমি গুলি করিনি। কারণ ছাত্ররা নিরস্ত্র ছিলেন, আর আমি জানতাম আমার রাইফেলের প্রতিটি গুলি মানেই একটি প্রাণ।”

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চে ১৫তম সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এসময় পলাতক চার আসামির পক্ষে তাকে জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী কুতুবউদ্দিন আহমেদ। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও তারেক আবদুল্লাহসহ অন্যরা।

প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষী অজয় কুমার চানখারপুলে ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার হাতে একটি চাইনিজ রাইফেল ও ৪০ রাউন্ড গুলি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আদেশ মানতে অস্বীকার করেন। এতে তাকে গালাগাল ও চাকরিচ্যুতির হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে কনস্টেবল সুজন মিয়ার হাতে তুলে দেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর অজয় কুমারের হাতে দেওয়া হয় লাঠি ও ঢাল। এরপর সুজন ও নাসিরুলরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছয় ছাত্রকে হত্যা করেন।

অজয় কুমার বলেন, “আমি গুলি করিনি, কারণ জানতাম ছাত্ররা নিরস্ত্র। আমার রাইফেলের প্রতিটি গুলি একটি প্রাণ কেড়ে নেবে।”

এদিন কারাগার থেকে চার আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন— শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

পলাতক আসামিরা হলেন— সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments