নেপালে গত সপ্তাহের গণআন্দোলনে নিহতের সংখ্যা ৭২-এ পৌঁছেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার এই নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার নেপালে জেন-জি আন্দোলন তীব্র আকার নেয়। এরপর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পালিয়ে যান। তার পালানোর পর বিক্ষোভকারীরা সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সরকারি ভবন, আদালত এবং সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে ভাঙচুর চালায়। এখন সেই সব ভবন থেকে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিস।
কেপি শর্মা পালানোর দিন নেপালের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে, যার কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও আগুন দেওয়া ভবনগুলোতে যেকোনো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি।
নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুড়াধোকি জানান, “শপিং মল, বাসা এবং অন্যান্য আগুন দেওয়া ভবনগুলোতে মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে।”
এর আগে গত শনিবার নেপাল সরকার ৫১ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল। রোববার নতুন তথ্য অনুযায়ী, গণআন্দোলনে আহত হয়েছেন ২,১১৩ জন।
কেপি শর্মা পদত্যাগের পর গত শুক্রবার রাতে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
রোববার সুশীলা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “যারা আন্দোলনের সময় এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের মধ্যে যদি কেউ নেপালি হয়, আমি লজ্জিত। জরুরি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা এই কাজের জন্য তাদের নেপালি বলা যায় কীভাবে।”