বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত থাকবে এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার বিচারের প্রক্রিয়াও দ্রুত হবে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, “এক বছরেরও বেশি সময় আগে হাসিনাতন্ত্রের পতন ঘটেছে। কিন্তু প্রত্যাশিত গণতন্ত্র এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গত ১৫-১৬ বছরে শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন তিনটি নির্বাচন করেছে, যা গণতন্ত্রকে এগিয়ে না নিয়ে বরং ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পেতে চায়। কিন্তু এখনো সরকার সেই দায়িত্ব পালন করেনি। বরং কিছু মহল নির্বাচনের বিরোধিতা করে হাস্যকর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি সফল করা সম্ভব নয়। অথচ কিছু দল সংসদে একটি আসনও না পেয়েও সরকারকে নিজেদের মতো করে চলার উপদেশ দিচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী সরকারের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট মাঠে আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনা বিরোধী ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনে গেলে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য নেতারা।