এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপকে বলা হচ্ছে ডেথ গ্রুপ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়, কারণ এই গ্রুপে রয়েছে তিন টেস্ট খেলুড়ে দেশ—বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সহযোগী দেশ হংকং ছিল চতুর্থ দল, তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরবে তারা।
এখনো গ্রুপের সমীকরণ বাকি তিন দলকে ঘিরেই। বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে না। তবে শ্রীলঙ্কা যদি হংকংয়ের কাছে হেরে যায় এবং বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারাতে পারে, তাহলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সেরা চারের হিসাবের জন্য। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের ম্যাচ হয়ে উঠবে অলিখিত সেমিফাইনাল।
বাংলাদেশকে শুধু আফগানিস্তানকে হারালেই চলবে না। শীর্ষ চার দলে জায়গা করে নিতে হলে আফগানিস্তানকেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হবে। অর্থাৎ রশিদ খানের দল টানা দুই ম্যাচে হেরে গেলে তাদের বিদায় নিশ্চিত হবে। কাগজে-কলমে এখনো টেস্ট খেলুড়ে তিন দলেরই গ্রুপ থেকে বাদ পড়া বা সেরা চারে ওঠার সম্ভাবনা আছে।
সহজভাবে বললে—শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তানের যে কোনো একটি দল যদি টানা দুই ম্যাচ হারে, তাহলে তারা বিদায় নেবে। তবে বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানের কাছে হারে, তাহলে ১৭ সেপ্টেম্বরই দেশে ফেরার বিমান ধরতে হবে লিটন দাসদের। তাই টাইগারদের লক্ষ্য কাল আফগানদের হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখা।
গ্রুপের ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছে আফগানিস্তানকে। তারা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট এবং এশিয়া কাপে আসার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ ফর্ম দেখিয়েছে। শারজাহতে পাকিস্তান ও স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছে। হংকংয়ের বিপক্ষেও সহজ জয় পেয়েছে তারা। ছয় দিনের বিরতি পেয়ে মানসিকভাবে সতেজ থাকবে আফগানরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে টানা দুটি ম্যাচ খেলেছে এবং দুই দিনের বিরতির পরই নামছে আফগানদের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শান্তদের হারিয়েই সেমিফাইনালে উঠেছিল আফগানিস্তান। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাও বড় টুর্নামেন্টে সবসময় ভালো খেলে। আবুধাবিতে বাংলাদেশকে সহজে হারিয়ে তারা দেখিয়েছে নিজেদের শক্তি। সবদিক বিচার করলে, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সেরা চারে ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।