রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি এবং হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে প্রচারণায় নামেছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের কাছে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল ব্যালট নম্বর পাওয়ার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, যার কারণে তখন প্রচারণা করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালেও আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকলেও সাড়ে নয়টার পর থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়, আর আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো একাডেমিক ভবনের ভিতরে ঢোকা যাবে না। ফলে অনেক শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনের ভিতরে অবস্থান করছেন, যা প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তবে যেসব শিক্ষার্থী বাইরে আছে, তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেট, সিরাজী ভবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, টং দোকান, চায়ের দোকান এবং হোটেলের সামনে ছাউনিতে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, “শিক্ষার্থীরা খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে। আমরা যখন তাদের কাছে যাচ্ছি, তারা আমাদের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা জানাচ্ছে। আমাদের প্যানেল থেকে এসেছি বললেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে সাদরে গ্রহণ করছেন। বিশেষ করে আমাদের বোনদের কাছ থেকে যে সাড়া পাচ্ছি, তা আমাদের খুবই উৎসাহিত করছে।”
তিনি আরও বলেন, “সকালে বৃষ্টি হওয়ায় প্রচারণা ১০টার দিকে শুরু করা সম্ভব হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীরা আমাদের সাড়া দিচ্ছে।”
ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, “গতকাল আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছিলাম, তবে ব্যালট নাম্বার পাওয়ার পর সন্ধ্যা হয়ে যায় এবং বৃষ্টির কারণে প্রচারণা করতে পারিনি। আজও বৃষ্টি হচ্ছে, তাই কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আচরণবিধি অনুযায়ী আমরা একাডেমিক ভবনের ভিতরে ভোট চাইতে পারি না। বৃষ্টির মধ্যে শিক্ষার্থীরা মূলত একাডেমিক ভবনের ভিতরে অবস্থান করছে। তবুও আমরা বিধি মেনে গণসংযোগ চালাচ্ছি এবং ভালো সাড়া পাচ্ছি।”
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন এবং সকলেই আচরণবিধি মেনে কাজ করছেন। যদি কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন, প্রথমে তাদের সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তারপরও যদি ভঙ্গ অব্যাহত থাকে, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”