Monday, September 15, 2025
spot_imgspot_img
Homeসর্বশেষঅস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন: সূর্যসেন হল ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজারকে ভিপির আলটিমেটাম

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন: সূর্যসেন হল ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজারকে ভিপির আলটিমেটাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান ও রান্নাঘরের পরিবেশ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হল সংসদের নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) আজিজুল হক। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ক্যাফেটেরিয়া পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ১৫ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনের সময় ভিপি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাফেটেরিয়ায় নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে এবং রান্নার পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৪২ বছর ধরে আপনারা দায়িত্বে আছেন, অথচ কোনো উন্নয়ন হয়নি। আলু পচা, ডালের মধ্যে ডাল নেই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণের কারণ কী?”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, রান্নাঘরে কর্মচারীদের মাথায় কোনো ক্যাপ নেই, অথচ তাদের কাছে অভিযোগ করা হলে বলা হয় যে ম্যানেজমেন্ট থেকেই ক্যাপ দেওয়া হয়নি। রান্নাঘরের ভেতরে শত শত সিগারেটের ফিল্টার পড়ে আছে এবং কর্মচারীদের কেউ কেউ হাফপ্যান্ট পরে রান্না করছেন—যা পেশাদার পরিবেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ম্যানেজারের উদ্দেশে ভিপি বলেন, “আপনি এবং মালিক বসে ঠিক করুন, ১৫ দিনের মধ্যে কী কী পরিবর্তন আনতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা যেন বলতে পারে— সূর্যসেন হল ক্যাফেটেরিয়া আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। তা না হলে ১৫ দিন পর দায়িত্ব ছাড়ার প্রস্তুতি নিন।”

ভিপির এই পরিদর্শনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ তার পদক্ষেপকে সময়োপযোগী ও সাহসী বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন তার কথাবার্তার ধরন অতিরিক্ত কঠোর ছিল।

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আজিজুল হক লিখেছেন, “হল সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সূর্যসেন হল ক্যাফেটেরিয়া পরিদর্শন করি। সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে— যেমন কর্মচারীদের কারো মাথায় ক্যাপ ছিল না, রান্নাঘরে শত শত সিগারেটের ফিল্টার, এমনকি রান্নার সময় সিগারেট খাওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ে। কর্মচারীরা হাফপ্যান্ট পরে রান্না করছিলেন। তালিকাভুক্ত কিছু খাবারও সেদিন রান্না করা হয়নি। সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল ডালের মধ্যে ডাল প্রায় অনুপস্থিত।”

তিনি আরও লেখেন, “একই ব্যক্তি ৪২ বছর ধরে এই ক্যাফেটেরিয়া চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বাধ্য না হলে এখানে খেতে আসেন না। এর আগে অন্তত ২০ বার সতর্ক করা হলেও তারা এমন ব্যবহার দেখিয়েছে, যেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব নয়। আমি স্বীকার করছি, সতর্ক করার সময় আমার ব্যবহার কিছুটা কঠোর হয়ে গিয়েছিল। তবে সামনে থেকে আরও সংযত ও মার্জিত থাকার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments