মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের অনুরোধে এই বছর ভারতে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে এবং এটি কোনো চাপের ফল নয়। সৌজন্যবোধ ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে এ বছর ভারতে ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে মাছ রপ্তানি করে আসছে, আর এবার ধর্মীয় উৎসবের কারণে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে। এটি গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম পরিমাণ।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নারী কৃষক এবং স্থানীয় এনজিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় ইলিশের ধরন কম হওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গেছে। জুলাই মাসে ৩৭ শতাংশ কম এবং আগস্টে ৪৭ শতাংশ কম ইলিশ ধরা পড়েছে। এর ফলে বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার জনকল্যাণের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারি উদ্যোগে মাছ বিক্রি ও প্রবাসীদের জন্য রপ্তানি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ বছর জাটকা নিধনের কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। তবে দেশের কিছু এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রবাসী বাঙালীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ফরিদা আখতার বলেন, কৃষিতে যেমন প্রণোদনা আছে, মৎস্য খাতে তেমন প্রণোদনা নেই, তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে। এছাড়া গবাদিপশুকে এলএসডি মুক্ত করার জন্য সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জসহ চার জেলা সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
সভায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানা সহ বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।