চাঁদপুরে এক নবজাতককে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, জীবিত অবস্থায় শিশুটিকে মৃত দাবি করে কবরস্থানে ফেলে যান এক অজ্ঞাত যুবক। কিন্তু দাফনের মুহূর্তে আজানের শব্দে নড়ে ওঠে নবজাতক। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে পৌর কবরস্থানে একটি কার্টনে শিশুটিকে এনে মৃত বলে দাবি করেন এক যুবক এবং কবর খননের জন্য দিয়ে দ্রুত সরে পড়েন। তবে দাফনের আগ মুহূর্তে আজান দেওয়া হলে শিশুটি হঠাৎ নড়ে ওঠে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে এনআইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। তবে ওজন মাত্র ৮০০ গ্রাম হওয়ায় ও অক্সিজেন লেভেল কম থাকায় সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারের এইচআর এডমিন কামরুল ইসলাম জুগলু জানান, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও নবজাতককে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহিন তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
হাসপাতালের এনআইসিইউ বিভাগের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ছোটন মিয়াজী বলেন, “শিশুটি আজই জন্মেছিল। ওজন ছিল মাত্র ৮০০ গ্রাম। শুরু থেকেই তার শ্বাসকষ্ট ছিল। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহও জানান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন, নবজাতককে কে কবরস্থানে ফেলে রেখে গিয়েছিল তা শনাক্তের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ এবং ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অনুরোধে শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হয়নি। রাতেই জানাজা শেষে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।