যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক চালু থাকা নিয়ে অবশেষে চীনের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, টিকটক ইস্যুতে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ চুক্তি আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করবেন।
বেসেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গত রাতে তার সঙ্গে আমাদের ফোনালাপ হয়, সেখান থেকে পাওয়া নির্দেশনা আমরা চীনা প্রতিনিধিদের জানিয়েছি। তার নেতৃত্ব ছাড়া এই সমঝোতা সম্ভব হতো না।”
বর্তমানে মাদ্রিদে দুই দেশের কূটনীতিকরা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট। তিনি আরও বলেন, “টিকটক আমাদের আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল। আমরা এমন একটি চুক্তি চাই যা চীনের জন্য ন্যায্য, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগকেও সুরক্ষা দেয়। আমাদের সমঝোতায় এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। আমরা চাই চীনা বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ পাক, তবে জাতীয় নিরাপত্তা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।”
এর আগে টিকটক নিয়ে একাধিকবার সমঝোতার সময়সীমা বাড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। শর্ত ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানার অন্তত একটি অংশ মার্কিন সমর্থিত প্রতিষ্ঠানের হাতে যেতে হবে। মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং পরবর্তীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত দ্বিদলীয় আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়, চীনের মালিকানায় থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ থাকবে।
প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে ট্রাম্প টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিলেও তা কার্যকর হয়নি। পরে বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেটিকে আইনে পরিণত করেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে টিকটকের প্রভাব উপলব্ধি করার পর ট্রাম্প তার অবস্থান পরিবর্তন করেন।