যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ব্রিটেনে একটি বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফরের ঠিক আগে ৬.৮ বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগ দেশটির অর্থনীতিতে শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গুগল জানিয়েছে, এই বিনিয়োগের অংশ হিসেবে লন্ডনের নিকটে একটি অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার চালু হবে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর গুগল ক্লাউড, সার্চ, ম্যাপস এবং ওয়ার্কস্পেস সেবার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গুগলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই বিনিয়োগ স্থানীয় ব্যবসায় খাতে বছরে প্রায় ৮ হাজার ২৫০টি নতুন চাকরি সৃষ্টি করবে।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকার দীর্ঘদিন স্থবির থাকা অর্থনীতিকে চাঙা করতে বেসরকারি বিনিয়োগে নির্ভর করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুগলের এ সিদ্ধান্ত স্টারমার সরকারের জন্য রাজনৈতিক স্বস্তি প্রদান করবে।
ট্রাম্পের সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থনৈতিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এটি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এছাড়া গুগল ঘোষণা দিয়েছে, তারা জ্বালানি কোম্পানি শেলের সঙ্গে যৌথভাবে একটি চুক্তি করেছে, যা গ্রিডের স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাজ্যের জ্বালানি রূপান্তরে সহায়ক হবে। ওয়ালথাম ক্রসে নির্মিতব্য নতুন ডাটা সেন্টারটি এয়ার-কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যা পানির ব্যবহার কমাবে। একই সঙ্গে সেন্টারের অতিরিক্ত তাপ স্থানীয় ঘরবাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হবে, ফলে পরিবেশগত প্রভাবও ন্যূনতম থাকবে।
গুগল বলছে, তাদের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উদ্যোগ এবং শেলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব মিলিয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে তাদের কার্যক্রমের ৯৫ শতাংশ কার্বনমুক্ত শক্তিতে পরিচালিত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, গুগলের এই ঘোষণা ট্রাম্পের সফরকে কেবল কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক