বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ চেষ্টা চালাবে সুপার ফোরে পৌঁছানোর। শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর মন খারাপ হলেও দল ও সমর্থকের আশা এখনো জিইয়ে রেখেছে। টিম ম্যানেজমেন্টে সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে চলছে আলোচনা; রিশাদের জায়গায় নাসুম রাখা হতে পারে, আর হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য জাকের-সোহানও হৃদয়কে হোটেলের বাইরে ঘুরিয়ে এনেছিলেন।
স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেবালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় দলের মধ্যে এখনও বিশ্বাস আছে যে তারা আফগানদের হারাতে পারবে। সুপার ফোরে পৌঁছানোর জন্য আমাদের সবাইকে বিশ্বাস রাখতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, আফগানদের স্পিন বোলিং শক্তিশালী এবং বিশেষ করে মিডল ওভারগুলোতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
আফগানিস্তানের কোচ জনাথন ট্রটও স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশ দলের কাছে জেতার মতো খেলোয়াড় আছে। তবে তাদের স্পিন অস্ত্র দিয়ে একাদশ সাজানো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সহজ ম্যাচ হবে না। দুই দলের bisherigen লড়াইয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১১টি ম্যাচে বাংলাদেশ পাঁচবার জিতেছে, বাকিগুলোতে হেরেছে।
দলগত শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় বাংলাদেশি পেসাররা এগিয়ে থাকলেও স্পিনে পিছিয়ে। আফগান ব্যাটিং লাইনআপে নবী, ওমরজাই, জানাত এবং রশিদ খানের মতো অলরাউন্ডাররা যে কোনো পরিস্থিতি থেকে দলকে ফিরিয়ে আনতে পারে। মুশতাক বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে পরিস্থিতি থেকে দল ১৪০ রানের কাছাকাছি এসেছে, আফগানদের বিপক্ষে আমরা আরও বেশি আশা করতে পারি।’
আবুধাবিতে আজকের ম্যাচে ১৬০-১৭০ রানের স্কোর হলে দলগুলোর মধ্যে টক্কর হবে। যদি বাংলাদেশ জিততে পারে এবং শ্রীলঙ্কা আফগানদের কাছে হারতে পারে, তাহলে সুপার ফোরে পৌঁছানোর পথ সুগম হবে। তবে যদি আজও হার হয়, তাহলে পরের দিনই ঢাকা ফেরা নিশ্চিত করতে হবে।