শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও দেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের নিবন্ধন, সনদ এবং উচ্চশিক্ষায় অগ্রগতির বিষয়গুলো সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছভাবে নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জাতীয় শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসিসট্যান্স ফাউন্ডেশন (বিইএমএসএএফ)-এর একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে তারা দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর বিদ্যমান সমস্যা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদল জানায়, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে এডেক্সেল ও কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (সিএআইই) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধনের সুযোগ পেলেও, স্কুলভিত্তিক সনদ না থাকলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। অনেক শিক্ষার্থী এমন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেন, যেগুলোর প্রকৃত অস্তিত্ব নেই। এতে ভবিষ্যতে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় সমস্যার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিনিধিদল দাবি করেছেন, অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শনাক্তকরণ নম্বর (ইআইআইএন) ব্যবহার করে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অনুমোদনের সঙ্গে মিল রেখে এডেক্সেল ও সিএআইইয়ের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হোক। এছাড়া নবম শ্রেণি থেকে প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালুরও প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
তাদের আরও মতে, স্কুল চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করছে। তাই কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা। এছাড়া এডেক্সেল ও সিএআইই পরীক্ষার নিবন্ধন ফি বেশি হওয়ায় তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা ফি সহনীয় পর্যায়ে আনারও অনুরোধ করেন।
প্রতিনিধিদল দেশি স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ স্পিকিং ক্লাব গঠনে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে অবদান রাখবে।