জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পাঁচ শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপসহ তিন দফা দাবিতে টানা ২৯ ঘণ্টা ধরে অনশন চালাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও তাদের দাবির বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দেয়নি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনশন চলছিল। কর্মসূচি গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুরু করেন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পাঁচ নেতা।
অনশনকারীদের মধ্যে রয়েছেন:
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মো. ফয়সাল মুরাদ,
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ফেরদৌস শেখ,
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বোটানি বিভাগের এ কে এম রাকিব,
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শাহিন মিয়া,
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অপু মুন্সি।
এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা আমাদের তিন দফা দাবিতে অনশন চালাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও কোনো আশ্বাস দেয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ হবে না, অনশন চলবে।”
ফয়সাল মুরাদ উল্লেখ করেন, “জকসু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন এখনও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয়নি। তাই আমরা অনশন চালিয়ে যাব।”
অনশনে অংশ নেওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়। এসময় শাখা ছাত্রদল, শিবির, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:
শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা,
বিশ্ববিদ্যালয়ের জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা,
ক্যাফেটেরিয়া ভর্তুকি প্রদান করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি আমাদেরও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জন্য যেটা ভালো ও মঙ্গলজনক হবে, সেটিই করা হবে।”
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার জবি শাখা ছাত্রশিবিরের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ এর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানান, আগামী নভেম্বরে শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূরক বৃত্তির অর্থ প্রদান করা হবে এবং শিগগিরই মন্ত্রণালয় থেকে জকসু নীতিমালা বিধি আকারে প্রণয়ন করা হবে।