ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘বৈধ’ বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, উপসাগরীয় দেশটি দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে আশ্রয় এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এজন্য দোহায় পরিচালিত হামলাটি নেতানিয়াহু মনে করেন সম্পূর্ণ যৌক্তিক।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “কাতারের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক সুস্পষ্ট। তারা শুধু আশ্রয় দেয় না, নিয়মিত অর্থায়নও করে। এই বাস্তবতা থেকেই দোহায় আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
গত সপ্তাহে দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠকে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেজনায়। বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন, তবে হামাসের শীর্ষ নেতারা প্রাণে বেঁচে গেছেন।
এ ঘটনার ফলে আঞ্চলিক রাজনীতিতে জটিলতা বেড়েছে। কারণ, কাতার দীর্ঘদিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা এবং বন্দি মুক্তি ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছিল। অথচ সেই দেশে সরাসরি হামলা চালানো হলো।
ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার অনুমোদনে কাতার গাজায় নগদ অর্থ এবং বিভিন্ন সহায়তা পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় বিষয়টি স্বীকৃতি পায়, কিন্তু এখন নেতানিয়াহু একই অভিযোগকে সামনে তুলে হামলার যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করছেন।