ইসলামে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এবং বরকতময় জীবনযাপনের মাধ্যম হলেও, এটি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কেউ যদি অবিবাহিত থাকেও পাপ থেকে বাঁচতে পারেন এবং বিয়ের প্রয়োজন বা আকাঙ্ক্ষা না থাকে, তবে অবিবাহিত থাকা হারাম নয়।
কানাডার অন্টারিওর ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব টরন্টোর জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও চিন্তাবিদ শায়খ আহমদ কুততি এক ফতোয়ায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—“আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন।” (সুরা আন-নূর, আয়াত ৩২)। অর্থাৎ, বিয়ে করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। শুধুমাত্র তখনই বিয়ে ফরজ, যখন অবিবাহিত ব্যক্তি পাপের আশঙ্কায় পড়তে পারেন।
যেসব হাদিসে অবিবাহিতদের ‘নিকৃষ্ট’ বলা হয়েছে, তা দুর্বল ও অবিশ্বস্ত। নবী করিম (সা.) কখনও অবিবাহিত থাকার কারণে কাউকে নিন্দা করেননি। ইতিহাসে হজরত ঈসা (আ.) ও হজরত ইয়াহইয়া (আ.) পুরো জীবন অবিবাহিত ছিলেন এবং তারা আল্লাহর কাছে সম্মানিত নবী ছিলেন। এছাড়া বহু বড় আলেমও অবিবাহিত থেকে জ্ঞানচর্চা ও ইবাদতে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
ইসলামে মূলত ব্যক্তির মূল্যায়ন হয় তার তাকওয়া ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে। যদি কোনো কারণে বিয়ে করা মানসিক বা বাস্তবিক অসুবিধা তৈরি করে, তবে অবিবাহিত থাকা পাপ নয়। আল্লাহ মানুষকে বিবাহিত বা অবিবাহিত হওয়ার ভিত্তিতে বিচার করেন না, বরং অন্তরের নিষ্ঠা ও সত্যনিষ্ঠার ভিত্তিতে বিচার করেন।