গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা জোরদারের সর্বশেষ আহ্বানের ওপর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বারবার ভেটো দেওয়ার পরও এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছে। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের আগ্রাসন ও গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি ঘোষণার পর আগস্টে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ অস্থায়ী সদস্য এ নিয়ে আলোচনা শুরু করে।
প্রস্তাবের খসড়ায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে জুন মাসেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলপন্থী অবস্থান থেকে ভেটো ব্যবহার করে প্রস্তাবটি আটকে দেয়। তবে এবার এক ইউরোপীয় কূটনীতিক এএফপিকে জানান, লক্ষ্য হলো মার্কিন ভেটোর কাছে নতি স্বীকার না করা।
এদিকে, প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ-নির্ধারিত তদন্ত কমিশন গাজায় ইসরায়েলকে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। বিষয়টি আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য তোলা হবে।
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর থেকে টানা বোমাবর্ষণ চলছে। ট্যাংক, যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর সমন্বিত অভিযানে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
স্থল ও বিমান হামলার কারণে শুধু গাজা সিটি নয়, পুরো গাজা উপত্যকায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে। আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৬৫ হাজার ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়।