পাকিস্তান ও সৌদি আরব কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে দেশ দুইটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যদি কোনো দেশকে আক্রমণ করা হয়, সেটিকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ আক্রান্ত হলে দু’দেশই একে অপরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। খবর জানিয়েছে জিও নিউজ।
দুই দেশের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই চুক্তি দশকের পর দশক ধরে চলমান নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করবে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সফরের সময়। সেখানে জ্যেষ্ঠ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভ্রাতৃত্ব, ইসলামি সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের অংশীদারিত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই দেশ এই চুক্তি করেছে।” এতে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ পায়। চুক্তিতে বলা হয়েছে, যেকোনো আগ্রাসন উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, এটি শুধু পাকিস্তান–সৌদি আরব সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও মুসলিম বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মুসলিম শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ এবং অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব উপস্থিত ছিলেন। সফরে সৌদি যুবরাজ ও দেশটির বাদশাহ শেহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তানের জনগণের সুস্থতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।