পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে তা উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য হবে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের মতে এ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার একটি আনুষ্ঠানিক রূপ। ভারত সরকার এখন খতিয়ে দেখছে—এই চুক্তি তাদের জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তির খবর জেনেছি। এটি আসলে দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক রূপায়ণ। ভারত সরকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এর আগে সৌদি আরবের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর লক্ষ্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা এবং যেকোনো আক্রমণের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা। বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরও উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তি এমন সময়ে হলো, যখন কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা তীব্র আকার নিয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়ে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক বহুগুণে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। বর্তমানে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। মোদি এ পর্যন্ত তিনবার সৌদি সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘কিং আব্দুল আজিজ স্যাশ’ লাভ করেন।