ইসরায়েল ভারতের কাছ থেকে কৌশলগত শিক্ষা নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের শীর্ষ প্রতিরক্ষা নীতি বিশেষজ্ঞ জাকি শালোম। ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড জায়োনিস্ট স্ট্র্যাটেজির সিনিয়র ফেলো শালোম বলেন, জাতীয় মর্যাদাকে কেবল প্রতীকী হিসেবে নয়, বরং কৌশলগত সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করার পাঠ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শিখতে পারেন।
জাকি শালোম জানান, মার্কিন শুল্কনীতি মোকাবিলা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে মোদির দৃঢ় অবস্থান প্রমাণ করেছে যে জাতীয় মর্যাদা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং শক্তিশালী কৌশলগত সম্পদ। এই সম্পদ দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করলেও মোদি সরকার এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবও মোদি প্রত্যাখ্যান করেছেন। শালোমের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থান মূলত জাতীয় মর্যাদা রক্ষার পরিচায়ক।
তুলনা করে শালোম বলেন, গাজার খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালে বোমা হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি সরকারের প্রতিক্রিয়া অতিরিক্ত স্বচ্ছতা ও সংযমের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে। সেখানে অন্তত ২০ জন নিহত হন। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সেনাপ্রধান আলাদা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছেন, যা দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
শালোম আরও বলেন, মোদি যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ফোনের সাড়া না দিয়ে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছেন। এতে স্পষ্ট বার্তা গেছে—ভারতকে কখনোই তুচ্ছ বা অধস্তন রাষ্ট্র হিসেবে দেখা যাবে না।
উপসংহারে জাকি শালোম উল্লেখ করেছেন, জটিল পরিস্থিতিতেও জাতীয় মর্যাদা রক্ষা করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, “ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে ইসরায়েলকে শিখতে হবে যে রাষ্ট্রীয় সম্মান কোনো বিলাসিতা নয়, বরং টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ।”