নেপালে সহিংস বিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারের পতনের পর জেনারেশন জি’র তরুণরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের বিস্তৃত দাবি তুলেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে সংবিধান পুনর্লিখন, সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, এবং গত তিন দশকের লুটপাটের তদন্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকারকে পতন ঘটানো এই বিক্ষোভকারীরা একদম নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, এটি কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি জরুরি, তবে তা নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর ভিত্তিতেই সম্ভব।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবিগুলো হলো—
- বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দিয়ে জনগণ, বিশেষজ্ঞ ও তরুণদের অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা পুনর্লিখন।
- অন্তর্বর্তীকাল শেষে স্বাধীন, সুষ্ঠু ও সরাসরি নির্বাচনের আয়োজন।
- সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।
- গত তিন দশকের লুট হওয়া সম্পদের তদন্ত এবং অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রীয়করণ।
- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ খাতে কাঠামোগত সংস্কার।
গত সোমবারের বিক্ষোভে অন্তত ২২ জন নিহত হওয়ার পর জনগণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করলে প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগ করেন। এরপরও অস্থিরতা কমেনি; সেনাবাহিনী রাতেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিছু গোষ্ঠী বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে। তবে জেনারেশন জি’র তরুণরা আশা প্রকাশ করেছেন, রাষ্ট্রপতি ও সেনাবাহিনী তাদের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে বাস্তবায়ন করবেন।