দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক দুটি মামলায় সাবেক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আসামি করেছেন। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানিলন্ডারিং এবং জালিয়াতি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট দখল করা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ, বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার সম্পদ অর্জন ও তা দখল, হস্তান্তর, রূপান্তর এবং বিদেশে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে।
অপর মামলা রাজউকের প্লট জালিয়াতির অভিযোগে মানিকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন— সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামাল, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, রাজউক সদস্য আবু বক্কার সিকদার, এম মাহবুবুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভুইয়া এবং সাবেক আব্দুল হাই।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয়ে মিথ্যা হলফনামা দাখিল করে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বরাদ্দকৃত প্লট ০৩৬ আত্মসাৎ করেছেন। মামলাটি দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতে পালানোর সময় ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট বিজিবির হাতে আটক হন মানিক। সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তীতে ৬টি হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচারপতি মানিকের বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে এবং সেখানে তার একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। ২০১২ ও ২০১৫ সালে তিনি লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন।