বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন সতর্ক করে বলেছেন, কোনো নেতা যদি টাকা-পয়সা বা অনৈতিকভাবে স্বজনদের বিএনপির সদস্য পদ দেন, তাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং দেশ থেকেও বিতাড়িত করা হবে।
তিনি বলেন, অতীতে যারা দালালি ও তাবেদারি করে দলের ক্ষতি করেছে, তাদেরও কোনোভাবেই বিএনপির সদস্য করা যাবে না। এককথায় অসৎ মানুষকে দলে জায়গা দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করে ক্ষমতায় যেতে হলে দলকে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বিকেলে ফেনীর সিও অফিস বাজারে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যা যা দরকার বিএনপি তাই করবে। কোনো জুলুমবাজকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, “আমি না থাকলেও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলবে। ঘরে ঘরে বিএনপির দুর্গ গড়ে তুলতে হবে এবং সৎ মানুষদের নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসাতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, আর শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ মানুষ হত্যা করেছেন। ইতিহাসে এ ধরনের খুনিদের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ কখনো হয়নি। তাই ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বেচ্ছাচারিতা করার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে।
সভার প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, আওয়ামী লীগের ভূত এবং ’৭১-এর রাজাকার বাহিনী মিলে একটি ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। ডাকসু ও জাকসুর সাম্প্রতিক নির্বাচন এরই অংশ। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকলে এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, “মালিক হয়ে ঘরে চোর ঢুকলে সেটি আপনারও ব্যর্থতা। তাই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের সব নির্বাচনে মানুষের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম হেলাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জুলফিকার আলি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞা প্রমুখ।