বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)-র কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত ২১ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ সাত দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি সংলগ্ন কালভার্ট রোডে, এফপিএবির প্রধান কার্যালয় রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান জানান, এফপিএবি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। তাদের বেতন ওপি (অপারেশনাল প্ল্যান) মাধ্যমে প্রদান হতো, কিন্তু ওপি বন্ধ থাকায় গত ২২ মাস ধরে ১২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বকেয়া রয়েছে। তিনি বলেন, বেতন প্রদানের পাশাপাশি সকল বৈষম্যকারী কর্মকর্তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তা হলো আওয়ামী লীগের সহযোগী মসয়ূদ মান্নান।
আরেক কর্মী অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এফপিএবির গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন এবং পরিচালক প্রোগ্রামের পদ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে তারা গোপনভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে নিজদের পরিচিত লোককে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এফপিএবি কর্মকর্তাদের সাত দফা দাবি হলো—
১. ২১ মাসের বকেয়া বেতন ও ভাতা সম্পূর্ণ পরিশোধ।
২. বেতন ও ভাতা নিয়মিত প্রদান নিশ্চিত করা।
৩. সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব বকেয়া পরিশোধ।
৪. দাতা সংস্থা আইপিপিএফ এর পূর্ণ সদস্যপদ পুনঃপ্রাপ্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ।
৫. স্বৈরাচারী সভাপতি ও তার সহযোগী কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছামূলক পদত্যাগ।
৬. অবৈধভাবে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি প্রত্যাহার এবং বন্ধ করা।
৭. এফপিএবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিষদ গঠনের অনুমোদন প্রদান।
কর্মসূচিতে উপস্থিত কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সরকারের এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় দ্রুত এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হবে।