বাংলাদেশ ব্যাংক আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) জন্য মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। তিনি মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন। ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিনিময় হার ব্যবস্থাপনাতেও কোনো বড় পরিবর্তন আসবে না। মূলত, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল থাকায় এই নীতিগত অবস্থান নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ১৮ জুলাই চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল, যেখানে মূল লক্ষ্য ছিল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং রিজার্ভ বৃদ্ধি। তবে, তখন কোনো সংবাদ সম্মেলন না করে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশ করা হয়েছিল।
বর্তমান মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ রাখা হতে পারে, যা পূর্বে তিন দফায় বাড়ানো হয়েছিল। তবে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর স্বার্থে ব্যবসায়ীরা সুদহার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ছয় মাসে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না আসলেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে, অর্থ পাচার প্রতিরোধে কঠোর নীতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল রয়েছে। গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯৪ শতাংশে নেমেছে, যা আগের মাসে ছিল ১০.৮৯ শতাংশ।
ডলারের বিনিময় হার বর্তমানে ১২২ থেকে ১২৪ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে, যা আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখা, বিনিয়োগের গতি বাড়ানো এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতিতে একটি স্বস্তির বার্তা এসেছে, যা আগামী দিনে আরও ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বলে আশা করা