বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে তৃতীয় দফায় তিন দিনের হরতাল শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকেই বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা এবং অভ্যন্তরীণ রুটের সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। মহাসড়ক ও ছোট সড়কে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম জানান, জনগণের ভোগান্তি এড়াতে তারা শুধু মহাসড়কে হরতাল পালন করছেন। দুই চাকার যান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হরতালের আওতামুক্ত রয়েছে।
হরতালের প্রথম দিনে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, এবং পরবর্তী দুই দিন মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে। এর আগে দুই দফা হরতাল ও অবরোধ পালন করেছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে বাগেরহাটবাসী চারটি আসন বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।
৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন নিশ্চিত করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি তা মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করা হিসেবে মনে করেছেন।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী আসনগুলো নির্ধারিত হয়েছে—
- বাগেরহাট-১: সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট
- বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা
- বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
আগে দীর্ঘদিন চারটি আসনে নির্বাচন হতো—
- বাগেরহাট-১: চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট
- বাগেরহাট-২: সদর-কচুয়া
- বাগেরহাট-৩: রামপাল-মোংলা
- বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা
নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস স্থানীয় মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।