ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আবারও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় আন্দোলনকারীরা। তারা টায়ার জ্বালানো, গাছের গুঁড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাধা প্রদান করে, তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সোমবার ভোরে অবরোধ কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও, সকাল সাড়ে ১০টার পর তারা পুনরায় সড়ক অবরোধ শুরু করেন।
সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন বিশেষ তৎপরতা এবং নিরাপত্তা জোরদার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ভোর ৫টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে।
গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রোববার সকাল থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নির্দেশে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।
স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েকদিন অবরোধের কারণে জনজীবন কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের মতে, সকাল থেকে ভাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী অল্প সংখ্যক যানবাহনই চলাচল করছে। টানা অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ হয়ে ২১ জেলায় যাতায়াত বন্ধ ছিল।
হাইওয়ে থানার ওসি রোকিবুজ্জামান জানান, সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসন (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) উপজেলা নিয়ে গঠিত। তবে নগনরকান্দা ও সালথা উপজেলা পূর্বে ফরিদপুর-২ আসনে ছিল। ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী, ফরিদপুর-৪ আসনের হামিরদী ও আলগী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙ্গাবাসী এই দুই ইউনিয়ন ফিরে পেতে অবরোধ কর্মসূচি চালাচ্ছেন।