আদী ইবন হাতিম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বান্দা তার রবের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে। সেখানে তার এবং আল্লাহর মাঝে কোনো অনুবাদক থাকবে না।
সে যখন তার ডান দিকে তাকাবে, তখন কেবল তার জীবনে করা ভালো কাজগুলোই দেখতে পাবে। আবার যখন বাম দিকে তাকাবে, সেখানে থাকবে তার করা মন্দ কাজগুলো। এরপর সামনে তাকালে দেখতে পাবে জাহান্নাম।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন—যে ব্যক্তি সামান্য একটি খেজুর দান করেও জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে, সে যেন তা-ই করে। (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১৮৫)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের ময়দানে মানুষ তার আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। তাই দুনিয়াতে নেক আমল বেশি করে পরকালের জন্য সঞ্চয় করা জরুরি।
একটি সহিহ হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে—এক সকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মুল মুমিনিন জুয়াইরিয়া (রা.)-এর ঘর থেকে বের হয়ে যান। তখন তিনি (জুয়াইরিয়া) নামাজের জায়গায় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিলেন। কিছুক্ষণ পর রাসুল (সা.) ফিরে আসেন, তখনো তিনি একই স্থানে ছিলেন। আবার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে ফিরে এসে দেখেন, তিনিই একই অবস্থায় আছেন।
তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) জিজ্ঞেস করেন—‘তুমি কি এখনো একই স্থানে রয়েছ?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ।’
রাসুল (সা.) বললেন—‘আমি এ সময়ের মধ্যে চারটি বাক্য তিনবার পাঠ করেছি, যার ওজন তোমার পাঠ করা দোয়াগুলোর চেয়েও ভারী হবে।’
সে দোয়াটি হলো—
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি, ওয়া রিদা নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ: আমি আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা করছি, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা অনুযায়ী, তাঁর সন্তুষ্টির পরিমাণ অনুযায়ী, তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ এবং তাঁর বাক্যগুলোর কালির সমপরিমাণ। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৩)