মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রায় এক দশক ধরে পত্রিকাটি তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ চালাচ্ছে এবং এটি ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রায় আনুষ্ঠানিক মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ট্রাম্প লিখেছেন, “আজ আমি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা দায়ের করতে পেরে গর্বিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, এটি “আমাদের দেশের ইতিহাসে অন্যতম নিকৃষ্ট সংবাদপত্র।”
ট্রাম্পের অভিযোগ, নিউইয়র্ক টাইমস তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়ে খবরটি প্রথম পাতায় বিশেষভাবে প্রকাশ করেছে, যা তিনি ‘আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবৈধ নির্বাচনী অনুদান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলছেন যে, সংবাদপত্রটি তার পরিবার, ব্যবসা, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি এবং ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (মাগা)’ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অসত্য প্রচার চালিয়েছে।
ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসকে অন্যান্য লিবারেল গণমাধ্যম যেমন এবিসি ও সিবিএসের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপব্যবহার এবং আক্রমণ চালাচ্ছে, যা অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি।
তিনি বলেন, “আমি গর্বিত যে একসময় সম্মানিত এই পত্রিকাটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনছি, যেমন আমরা ভুয়া সংবাদ প্রচারকারী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে করেছি।” ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন যে, পত্রিকাটি জটিল নথি ও ভিজ্যুয়াল বিকৃতির মাধ্যমে তাকে কলঙ্কিত করছে, যা বিদ্বেষমূলক মানহানির অংশ।
মামলা দায়ের করা হয়েছে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে, এবং ট্রাম্প এই ঘটনার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলা মিথ্যা ও কলঙ্কজনক আক্রমণের ইতি টানার প্রত্যাশা করছেন।