ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার শ্যামলী ও মতিঝিলে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা চলাকালীন আরও ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১ হাজার ৬৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ হাজার ১২৬ জনকে মামলা ও পরোয়ানা অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।
ডিবি অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন— বরগুনার বেতাগী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ আলী, গাজীপুর মহানগর যুবলীগ নেতা শামীম ওসমান, ঢাকা দক্ষিণের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ দেওয়ান শিপু, গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র কায়সার আহম্মদ, ঢাকা উত্তরের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সহসভাপতি মো. সোলেমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইকরামুল হাসান রুবেল, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, ক্যান্টনমেন্ট থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সজীব খান, দারুস সালাম থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান ও গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিরু মিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা চলাকালে শ্যামলীর শিশুমেলার সামনে পাঁচ জনকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ আটক করে। পুলিশ জানায়, ওই সময় নেতাকর্মীরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেপ্তারদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় আরও তিনজনকে পুলিশ আটক করে।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় পৃথক দুটি মিছিল থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজনকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।