নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত রোববার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সুশীলা কারকি। তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং এবার নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
কে পি শর্মা অলি পদত্যাগের পর বিক্ষোভকারী তরুণরা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাই শুরু করেন। তারা “ডিসকর্ড” অ্যাপে ভোটের মাধ্যমে সুশীলা কারকিকে এই দায়িত্বে বেছে নেন। ডিসকর্ডে এক লাখ ৪৫ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপ ভোটাভুটি পরিচালনা করে, যেখানে কারকিকে সর্বাধিক সমর্থন দেওয়া হয়। হামি নেপাল নামে একটি নাগরিক সংগঠন এই ভোটাভুটি আয়োজন করেছিল।
৭৩ বছর বয়সী শর্মার জায়গায় ৭০ বছরের বেশি বয়সী কারকিকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ ছিল তরুণদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য ও সৎ নেতৃত্বের প্রয়োজন। কারকির অতীত কর্মকাণ্ড ও কোর্টে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান জেন-জি প্রজন্মের তরুণদের আকৃষ্ট করেছে।
সুশীলা কারকি ১৯৫২ সালের জুনে নেপালের বীরাটনগরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। ২০১৭ সালে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে অপসারণের চেষ্টা করা হলেও পরে তা বাতিল হয়।
দায়িত্ব গ্রহণের দিনই সুশীলা কারকি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে জেন-জি প্রজন্মের চিন্তাভাবনা অনুসারে এবং এই সরকার ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হবে না। তিনি তিনজন নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওম প্রকাশ আর্যল, অর্থমন্ত্রী রমেশ্বর প্রসাদ খনাল ও জ্বালানিমন্ত্রী কুলমান ঘিসিং।
বর্তমানে সংসদ ভেঙে দেওয়ায় কারকির সরকার নতুন কোনো আইন পাস করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। প্রধান দায়িত্ব হবে সময়মতো নির্বাচন আয়োজন এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।