বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন তিন বছর পরপর এবং অবসর নেওয়ার ছয় মাস আগে বিচারকদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ দাখিলের সুপারিশ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী, এই তথ্য সংগ্রহ এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রকাশ করবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। এ ছাড়া, বিচারকদের বিচারিক দক্ষতা, আদালত ব্যবস্থাপনা, মামলা ব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এমনই একটি সুপারিশ গত শনিবার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। ৩৫২ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বিচার বিভাগের শৃঙ্খলা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাপ্তি ও তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সুপ্রিম কোর্টে একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং ই-মেইল মারফত অভিযোগ দাখিলের জন্য নির্দিষ্ট ই-মেইল ঠিকানা প্রকাশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ, শৃঙ্খলা এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সংস্কার বিষয়ক অধ্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সম্পদ বিবরণের নিয়ম নির্ধারণ করেছে। অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠনেরও সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি প্রতি তিন মাসে নতুন অভিযোগগুলো পরীক্ষা করবে এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই সুপারিশগুলো বিচার বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।