জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে চলেছে। কয়েকটি দল ও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সূত্রে জানা গেছে, এনসিপি অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে একীভূত হওয়া, ইস্যুভিত্তিক জোট বা নির্বাচনি জোট গঠন নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করছে।
প্রাথমিক বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও কার্যক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এনসিপির অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে মাসখানেকের মধ্যে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরে একীভূত বা জোটভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় হলে এ বিষয়ে জনসাধারণকে প্রকাশ্যে জানানো হবে। সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আপ বাংলাদেশের সঙ্গে এনসিপির একাধিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মূলত দলের একীভূত হওয়া না হলে ইস্যুভিত্তিক জোট গঠনের বিষয় আলোচনা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, “আমরা জুলাইয়ের পক্ষের দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগোতে চাই। একীভূত না হলে জোট গঠন করে অগ্রসর হব।”
গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা বলেন, এনসিপির সঙ্গে একীভূত হওয়া বা জোট গঠন নিয়ে আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দলের নেতাদের সুস্থতা ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।
এনসিপি মধ্যপন্থি নতুন নির্বাচনি জোট গঠনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা অন্যান্য দল থেকে আগ্রহী নেতাদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে। এতে দলের ক্ষমতা ও আকার উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জুলাই শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তিশালী দল হিসেবে রাজপথে নামা হবে।
এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, বিচার ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরি করা—এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।