বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আইন করা হয় দুর্নীতি রোধের জন্য। কিন্তু এ দেশে দুর্নীতি আইন ও নীতি নির্ধারণের মধ্য দিয়েই হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি খাতে দুর্নীতির কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে, বকেয়া টাকা অনেকটাই পরিশোধ হয়েছে এবং প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে এবং লোডশেডিং কমানো সম্ভব হয়েছে।
ফাওজুল কবির বলেন, বর্তমানের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে নজর দেওয়া জরুরি। শুধুমাত্র অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতিও বন্ধ করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি দুর্নীতির প্রবণতা কমানো এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এছাড়া, নির্বাচন ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ছাড়া দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কার্যকর গণতন্ত্র নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি ও সমাজ—এসবের মধ্যে নিরাপত্তার সুষম ধারণা থাকা প্রয়োজন। খাদ্য, অর্থনৈতিক ও জ্বালানি নিরাপত্তার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য পানি, জলবায়ু ও সীমান্ত নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। মাদক ও অস্ত্র পাচার বন্ধ করা, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এবং আন্তর্জাতিক কৌশলগত ঝুঁকি মোকাবেলা গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো সাফকাত মুনির বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা করা জরুরি। সাইবার সিকিউরিটি, অপ্রথাগত নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের নিরাপত্তা সুসংহত করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সংক্ষেপে, দেশের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতীতের পাশাপাশি বর্তমানের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।