১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনসহ ৪৭ বিএনপি নেতা মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি তাদের গণসংবর্ধনা দিয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এবং মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৪৭ জন নেতা মুক্তি পান, এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। মুক্তি প্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক প্যানেল মেয়র শামছুল আলম, বিএনপি নেতা এ কে এম আখতারুজ্জামান, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন, যুবদল নেতা রেজাউল করিম শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, শহিদুল ইসলাম অটল, মোস্তফা নূরে আলম শ্যামলসহ অন্যান্যরা।
মুক্তির পর তাদেরকে স্বাগত জানাতে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। তাদের শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী, যাদের মধ্যে বিভিন্ন যানবাহন ছিল, যেমন মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাস। শোভাযাত্রাটি ঈশ্বরদী শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে চলে এবং পরবর্তীতে আলহাজ্ব স্কুল মাঠে জমায়েত হয়। এরপর, শহরের পুরনো মোটরস্ট্যান্ডে একটি গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এই গণসংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট জামিল আখতার এলাহী, এবং মুক্তি পাওয়া নেতারা। তারা বলেন, “আপনাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত হতে পেরেছি। ঈশ্বরদী বিএনপির কোনো নেতা রাহাজানির সাথে যুক্ত থাকবে না এবং মব জাস্টিস প্রতিষ্ঠা করবেন না।”
এ সময়, তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “প্রথম থেকেই তিনি আমাদের জন্য এই মিথ্যা মামলার বিষয়টি দেখভাল করেছেন এবং আমাদের মুক্তির জন্য অর্থসহায়তা প্রদান করেছেন।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে ঢোকার সময় হামলার শিকার হয়, যার ফলে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মামলা করেন।