জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন (ওসিএইচসিআর) বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের আন্দোলন বা এর আগে ঘটে যাওয়া আন্দোলন দমনে ব্যবহৃত নৃশংসতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে র্যাবের বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয় এবং এসব বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে সংশ্লিষ্ট না হলে নিজ নিজ ইউনিটে ফিরে আসেন।
ওসিএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয় যে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে কেবল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া উচিত এবং ডিজিএফআই (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর) এর কাজও শুধুমাত্র সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। এছাড়া, এমন কর্মকর্তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মনোনীত না করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে যারা অতীতে আন্দোলন দমনে ভূমিকা রেখেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, আন্দোলনকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী মেটাল লোড করা আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলাবারুদ ব্যবহার করা যাবে না, শুধুমাত্র প্রাণঘাতী আঘাত থেকে বাঁচার জন্য তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরও প্রাণঘাতী অস্ত্রসহ সজ্জিত হওয়ার পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ওসিএইচসিআর পরামর্শ দিয়েছে যে, পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি এবং দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রক্রিয়া সরকারের, বিরোধী দলের এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় পুলিশ কমিশনের নেতৃত্বে হওয়া উচিত। এই কমিশনটি পুলিশের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবে, যাতে স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকার সম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যায়।
এভাবে, জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমে অধিক মানবাধিকার সমর্থনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে